পর্ব ২: আন্তর্জাতিক গ্রহাণু দিবস

আন্তর্জাতিক গ্রহাণু দিবস উপলক্ষ্যে কসমিক কালচার অনলাইন বিজ্ঞান আলোচনার পর্ব-২ আয়োজন করা হয়
গ্রহাণু বা অ্যাস্টরয়েড মূলত পাথরের খণ্ড যা মহাকাশে নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। সৌরজগতের বেশিরভাগ গ্রহাণুই সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণরত অবস্থায় মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝে প্রধান গ্রহাণু বেষ্টনীতে পাওয়া যায়, যা মূলত ৪৬০ কোটি বছর আগে আমাদের সৌরজগতের প্রাথমিক গঠনের পরে ধুলিকণা, পাথরের অবশিষ্টাংশ।

গ্রহাণু সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জানা ও এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়েই বিজ্ঞানীদের উদ্যোগে ২০১৫ সালের ৩০ জুন প্রথমবারের মতো পালন করা হয় আন্তর্জাতিক গ্রহাণু দিবস। পরে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সভায় প্রতি বছর ৩০ জুন আন্তর্জাতিক গ্রহাণু দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই দিবসটি বিশ্বব্যাপি সচেতনতামূলক কর্মসূচির একটি অংশ হিসেবে পালিত হয় যেখানে বিশ্বের মানুষ গ্রহাণু সম্পর্কে জানতে পারে, এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হতে পারে এবং ভবিষ্যতে এর প্রভাব থেকে নিজেদের বিশ্বকে, সমাজ ও সভ্যতাকে কীভাবে রক্ষা করা যেতে পারে তার ব্যাপারে সচেষ্ট হতে পারে। প্রতি বছর এই গ্রহাণু দিবসটি সাম্প্রতিক ইতিহাসের বৃহত্তম প্রভাব অর্থাৎ ১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ার তুঙ্গাসকার ঘটনা স্মরণে পালিত হয়।

আমরা প্রতি মুহুর্তে সৌরজগতের বিবর্তন এবং মহাকাশ ও পৃথিবীর ইতিহাসে গ্রহাণুর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পারছি। প্রতিদিন মহাকাশের ছোট ছোট অনেক ঘটনার প্রভাব পৃথিবীতে ঘটছে এবং পৃথিবীর প্রভাব ইতিহাস থেকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন পৃথিবীতে আরো বড় আকারের এরকম মহাজাগতিক প্রভাব আসা দৈবাৎ নয়।

করোনাভাইরাস বা কোন সংক্রামক রোগ কখনোই মানবসভ্যতাকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার ক্ষমতা রাখে না। কিন্তু পৃথিবীর প্রাচীন ইতিহাস দেখিয়েছে, ১০ কিলোমিটারের অধিক চওড়া একটি গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়লে বিস্ফোরণের তেজষ্ক্রিয়তা ও পরিবেশগত বিপর্যয়ে মানবসভ্যতাসহ অধিকাংশ প্রাণী ও উদ্ভিদজগত চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।

তাই আন্তর্জাতিক গ্রহাণু দিবস পালনের লক্ষ্য সাধারণ মানুষকে গ্রহাণু বিজ্ঞান এবং গ্রহের প্রতিরক্ষার জন্য পরিকল্পনা সম্পর্কে সচেতন করা। এই উপলক্ষ্যে কসমিক কালচার অনলাইন বিজ্ঞান আলোচনার পর্ব-২ আয়োজন করা হয়েছে এই দিবসকে সামনে রেখে। আমরা মনে করি গ্রহাণু দিবস উদযাপনের মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিজ্ঞানমনস্কতা ও বিজ্ঞানঘনিষ্টতা বৃদ্ধি পাবে, যা পৃথিবী ও এর সভ্যতাকে মহাজাগতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষায় পথ দেখাবে। অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের কর্মসচিব গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিজ্ঞান বক্তা, লেখক ও বিজ্ঞান সাময়িকী মহাবৃত্ত সম্পাদক আসিফ