সাবর্ণ সংগ্রহশালার দশম আন্তর্জাতিক ইতিহাস উৎসব

সাবর্ণ সংগ্রহশালার দশম আন্তর্জাতিক ইতিহাস উৎসব

নবাব সিরাজউদ্দৌলার ব্যবহৃত হাতির দাঁতের সেই খঞ্জর যেন মনোজগতের পথ হাতড়ে সবাইকে নিয়ে গেল সেই আড়াইশ বছর আগের পলাশী প্রান্তরে। কেউ আবার অবাক বিষ্ময়ে ঠায় দাঁড়িয়ে পড়লেন মহেঞ্জোদারো ও হরপ্পা সভ্যতার নানা সামগ্রীর সামনে।

শত বা হাজার বছরের সাক্ষী এ সব সামগ্রীর দেখা মিলল এবার সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবার পরিষদ আয়োজিত ইতিহাস ও পুরাকীর্তি বিষয়ক বার্ষিক প্রদর্শনীতে। এটি ছিল তাদের ১০ম আয়োজন। এবারের বিষয় ছিল ‘দশামৃতম’। প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষণ ছিল নবাব সিরাজদৌল্লার হাতির দাঁতের ‘খঞ্জর’ বা চাকু সহ ১৭ শতকের হাতির দাঁতের নানা সামগ্রী। ইতিহাসের আরও পিছন দিকে গেলে, এবারে প্রদর্শিত হয়েছে খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর ব্রোঞ্জের বুদ্ধমূর্তি, মহেঞ্জোদারো এবং হরপ্পার নানা টুকরো অংশ। প্রদর্শনীটি ভারতের কলকাতায় বারিষায় অবস্থিত সপ্তর্ষী ভবনের জাদুঘর মিলনায়তনে গত ৮ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজনের প্রধান দেবর্ষি রায় চৌধুরী জানান, এর সবই পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সাবর্ণদের ২২ হাজার সদস্যের থেকে সংগৃহীত হয়েছে। অন্যান্য আকর্ষণ হিসেবে সারা পৃথিবীর কমিকসের বিবর্তনের ইতিহাসের নানা নিদর্শন প্রদর্শিত হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে যেভাবে মহাভারত লেখা হয়েছে আলাদা আলাদা ঢঙে, ছিল তারও ইতিবৃত্ত এবং ভুটানের ইতিহাস, ছিল ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে তার যোগাযোগের নিদর্শন।

প্রদর্শনীতে একইসঙ্গে প্রকাশ করা হয় দুই বাংলা থেকে একযোগে সম্পাদিত সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের প্রয়াস- হাতে লেখা পত্রিকা ‘সপ্তর্ষি’। এটির সম্পাদনার দায়িত্বে রয়েছেন বাংলাদেশের ইসরাত জাহান ইউনিটি। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয়সঙ্গীত শিল্পী পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের যুগলবন্দী এই আসরে ওয়েব পার্টনার হিসেবে ছিল বাংলাদেশের বিজ্ঞান সংগঠন কসমিক কালচার।